Select Page

অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ডিস্ট্রেস সিনড্রোম: করোনা মহামারিকালে আরেকটি চিন্তার বিষয়

বর্তমান কোভিড-১৯ মহামারি বিশ্বব্যাপী এক কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। বিশেষকরে স্বাস্থ্য গবেষক এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় দায়িত্বরতদের জন্য সময়টা অনেক জটিল। কোভিড-১৯ আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের প্রায় ১০ থেকে ২০ শতাংশ গুরুতর নিউমোনিয়া এবং অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ডিস্ট্রেস সিনড্রোম-এ (এআরডিএস) ভুগতে পারে। আর এমন রোগীদের জন্য মেকানিকাল ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন পড়ে। তবে এআরডিএস ফুসফুসের বিভিন্ন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সমস্যা যেমন- শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, ট্রমা, ফুসফুসে ইনহেলেশন ইঞ্জুরির কারণেও হতে পারে। সিভিয়ার হাইপোক্সেমিক রেসপিরেটরি ফেইলিওর এমন একটি সমস্যা যার কারণে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীরা বিশ্বব্যাপী সবথেকে বেশি  নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি হয়। চলমান মহামারীর সাথে, বিশ্বব্যাপী চিকিৎসা গবেষক এবং চিকিত্সকরা এই জটিল রোগের সম্ভাব্য বৈশিষ্ট্যগুলি বোঝার চেষ্টা করছেন।

এআরডিএস ও সিএআরডিএস কী?

গবেষণা থেকে জানা গেছে কোভিড-১৯-এর ফলে হওয়া এআরডিএস যাকে সিএআরডিএস-ও বলা হয়, সেটি সাধারণ অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ডিস্ট্রেস সিনড্রোম-এর (এআরডিএস) বৈশিষ্ট্য থেকে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে। গবেষণায় আরও জানা গেছে, যেসব রোগীদের অক্সিজেনেশন লেভেল অনেক কম বা যারা আগের থেকেই ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন কিংবা যাদের ছোট বায়ুযুক্ত ফুসফুস রয়েছে, তাদের সিএআরডিএস ক্লাসিক্যাল এআরডিএস প্যাটার্ন হিসাবে উপস্থিত থাকতে পারে। অন্যদিকে, অনেকের ফুসফুসের অন্যান্য কার্যকারিতা ভালো হওয়া সত্ত্বেও অক্সিজেনেশনের অবস্থা খারাপ হতে পারে।

Acute Respiratory Distress Syndrome

কোভিড-১৯ মহামারিতে সিএআরডিএস-এর প্রভাব

সিএআরডিএস-এ আক্রান্ত অনেক কম রোগীরই লো-ব্লাড অক্সিজেন সহনশীলতা তুলনামূলকভাবে ভালো থাকে যাকে বলা হয় সাইলেন্ট হাইপোক্সেমিয়া বা ‘হ্যাপি হাইপোক্সেমিয়া’। এমন রোগীদের মধ্যে অক্সিজেনেশন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের কাজের মধ্যে এই বিচ্ছিন্নতা মেকানিকাল ভেন্টিলেশন নেওয়ার সিদ্ধান্তের উপর প্রভাব ফেলে।  ফলে চিকিৎসকরা ক্লিনিকাল অবনতির লক্ষণ না পাওয়া পর্যন্ত মেকানিকাল ভেন্টিলেটর প্রয়োজন হবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন। বর্তমান মহামারিকালে আক্রান্তদের অক্সিজেনেশন উন্নত করার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি যেমন অ্যাওয়েক সেলফ-প্রনিং, হাই ফ্লো ন্যজাল ক্যানোলা এবং ইসিএমও ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনের কম ব্যবহার ক্লিনিকাল ট্রায়ালগুলিতে মৃত্যুঝুঁকি কমিয়ে দেয়। ওষুধের ক্ষেত্রে, কোভিড-১৯ রোগীদের পরিপূরক অক্সিজেন বা বায়ুচলাচল সহায়তার প্রয়োজনে কর্টিকোস্টেরয়েড ব্যবহার উন্নত ফলাফল প্রদান করেছে। অক্সিজেন সহায়তা প্রয়োজন এমন কিছুসংখ্যক করোনা আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির পর আইএল-৬ রিসেপ্টর অ্যান্টাগনিস্ট  মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি থেরাপি নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বেশিরভাগ চিকিত্সা নির্দেশিকাগুলি কোভিড-১৯ আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের জন্য অ্যান্টিকোঅ্যাগুলেশন ব্যবহার করতে বলে। ক্রমবর্ধমান ডেটা এবং গবেষণার থেকে আমরা জানতে পারি যে, সিএআরডিএস-এ আক্রান্ত রোগীদের ক্লিনিকাল ফলাফলের উপর নতুন পদ্ধতির উদ্ভবন প্রভাব ফেলতে পারে।